বাংলাদেশ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে এনামুল হক বিজয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিং

বাংলাদেশ দলের একসময়ের ওপেনার নিয়মিত খেলে থাকতেন এনামুল হক বিজয় প্রথমে যখন দলে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান তখন তিনি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলের জায়গাটা ফাকাপুক্ত করে নেন। যেকোনো দলের সাথে বিজয় দুর্দান্ত ব্যাটিং করে থাকতেন পাশাপাশি ওয়ানডে টেস্ট এবং টি টোয়েন্টিতে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ করে নিতেন কারণ তার ব্যাট থেকে রান আসত দলের বিসিবি কর্মকর্তারা থাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো সবাই মনে করত এনামুল হক বিজয় যদি এভাবেই তার অভিজ্ঞতা দিয়ে খেলে থাকে তাহলে একসময় বাংলাদেশের বড় মাপের একজন খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে উঠবে। 



এনামুল হক বিজয় যখন দলের সাথে অনেক ইনিংস খেলেন তখন তার মনে একটাই ইচ্ছা আমি দলকে জিতিয়ে আনব এই প্রত্যাশা নিয়ে তিনি মাঠে ব্যাটিং করার জন্য মাঠে নামতেন বাংলাদেশ দলকে অনেক বছর সার্ভিস দিয়েছেন যেমন প্রায় ৫ থেকে ছয় বছর দলের সাথে নিয়মিত একটিভ থেকে দলের সাথে খেলেছেন।




জিম্বাবুয়ের সাথে বিজয়ের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচঃ জিম্বাবুয়ের সাথে ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পান এক সময়ের ওপেনার হার্ট হিটার ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয় ৬ চার ৩ ছক্কা মেরে ৬২ বলে ৭৩ রান করে আউট হয়ে যান। এনামুল হক বিজয় নিজের মতো করে অর্থাৎ স্বাধীনতা মন উজাড় করে ভালোভাবে ব্যাটিং করে সবাইকে চমকে দিয়ে আজকে সেই রকম একটা ইনিংস খেলেন তবে বিজয়কে দলে টিকিয়ে থাকতে হলে থাকে পারফর্ম করে দলে জায়গা করে নিতে হবে। যদি তিনি যেকোনো দলের সাথে ভালো খেলেন তবে থাকে দলে রাখা হবে। 



বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে যেকোনো একাদশে খেলতে হলে নিজেকে পারফর্ম করে খেলতে হবে দলের প্রয়োজনে যত রান দরকার ততো রান করে বিপক্ষ দলের সাথে বদলাতে হবে। তাই এনামুল হক বিজয় কে দলকে সার্ভিস দিতে হলে বা দলের সাথে একাদশে থাকতে হলে নিজেকে আরো অনেক কিছু ব্যাটিং টেকনিং বা পরিশ্রমের ধারা নিজেকে আরো পরিবর্তন করতে পারবেন। কারণ এনামুল হক বিজয় তার ব্যাটিং ধরণ সবার থেকে অনেক আলাদা যার থেকে যে যতো ভালো ব্যাটিং বা ভালো বোলিং করবে থাকে দলে রাখা হবে। আর যিনি দলের স্বার্থে ভালোভাবে খেলতে পারবেন না থাকে দল থেকে বের হ করে দিয়ে অন্য কোনো খেলোয়াড়কে দলে আনা হবে।



বিজয়ের ওয়ানডে ম্যাচঃ জিম্বাবুয়ের সাথে টি টোয়েন্টি একাদশে জায়গা পেলেও তেমন কার্যকর ব্যাটিং দেখতে পারেন নি এনামুল হক বিজয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সাথে সাদা পোশাকে নিজেকে তেমন সাচ্ছন্দ্য করে অর্থাৎ ব্যাটিং করে বোর্ড কর্তৃপক্ষদের মন জয় করতে পারেন নি। আসন্ন ডিপিএলে এনামুল হক বিজয়ের রান সবার উপরে ছিল অর্থাৎ রানের তালিকায় এক নাম্বার ছিলেন আর সেখান থেকে বাংলাদেশ জাতীয় দলে ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে খেলার সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টেস্ট ক্রিকেটে ওয়েস্টইন্ডিজ সফরে তেমন রান করতে পারেন নি যেমনটা আশাবাদী ছিল থাকে নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তারপর থাকে জিম্বাবুয়ে সফরে দলের সাথে খেলার সুযোগ পান টি টোয়েন্টি তেমন রান দলের সাথে করতে পারেন নি যেমনটা দেখিয়েছিলেন ডিপিএলে তারপর বিজয়কে জিম্বাবুয়ে সফরে ওয়ানডে একাদশে থাকে রাখা হয়।


 


প্রায় তিন বছর পর একাদশে: ত্রিদেশীয় সিরিজ এর জন্য ২০১৮ সালে মাশরাফির দায়িত্বে বিজয় খেলবেন ওয়ানডে ম্যাচ সেই জন্য এনামুল হক বিজয় নিজেকে ধন্য মনে করছেন কারণ তিনি জানেন মাশরাফির সাথে খেললে অনেক কিছু শেখা যায় দলের স্বার্থে বাড়তি সুবিধা জাগায় সেই সাথে তিনি মনে করেন যেহেতু আমি অনেক বছর পর আবার নতুন করে দলের সাথে খেলার সুযোগ পেলাম তাও আবার মাশরাফির ভাইর নেতৃত্বে বিজয় বলেন আমার অনেক সৌভাগ্য। 




বিজয় বলেন আমাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে আমার মতো করে খেলতে আমি ওইভাবে খেলার চেষ্টা করি আসলে স্বাধীনতা পেলে অনেক ভালো লাগে নিজেকে আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নেওয়া যায় কতটুকু পারি। সঙ্গী হিসেবে তামিম ইকবালকে ওপেনিংয়ে পেয়ে অনেকটাই চাপমুক্ত থাকেন বিজয় সেই সাথে মাশরাফির নেতৃত্বে একাদশ ভালো পারফর্ম করছে। 

Tags

Post a Comment

0 Comments